নালিশ
বাণী প্রসাদ নাগ
ডাঃ
অনিকেত। শল্য চিকিৎসক। অবাক নয়নে চেয়ে ডিসেকশন টেবিলের সামনে। দুধে আলতা
রঙে উদ্ভিন্ন যৌবনা মেয়েটির রূপ যেন ঝরে পড়ছে। খোলা চোখের দৃষ্টিতে তখনও
অভিমানের প্রলেপ। গায়ে সুগন্ধের ছোঁয়া। কতই বা বয়স? বড়জোর কুড়ি। কে বলবে
কিছুক্ষণ আগে কাউকে শেষ নালিশ জানিয়ে----
পোস্ট
মর্টেম রুম। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তবুও অনিকেত দাঁড়িয়ে ঘামছে। ছুরি কাঁচি
হাতে। হরিণ নয়নার পেলব এই শরীরটাকে তাকে কাটা ছেঁড়া করতে হবে। সে অবিবাহিত।
কচি মুখটার দিকে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে চেয়ে। অস্পষ্ট লিপস্টিক মাখা ঠোঁট
দুটো নাড়িয়ে তখনও সে যেন বলবার চেষ্টা করছে "সোনার এই পৃথিবীতে কাউকে
ভালোবেসো না, কক্ষনো না।"
অনিকেত জীবনে শ'য়ে শ'য়ে কাটাছেঁড়া করেছে। তার হাত কাঁপছে। সহযোগীরা নির্বাক।
স্যার," কি হলো শুরু করুন, আত্মীয়রা বাইরে অপেক্ষায়।"
তবু অনিকেত নির্বিকার। আচমকা ছুরিকাঁচি ছেড়ে সুপারের উদ্দেশ্যে।
কি হলো ডাঃ অনিকেত!
'নো কোশ্চেন প্লিজ,অাই কান্ট।'
অনিকেত মিলিয়ে দেখছিল ভালোবাসার পরিনতি নিজের সাথে।
No comments:
Post a Comment